নতুনদের জন্য সেরা ১০টি ফ্রিল্যান্সিং স্কিল ও ব্যবহার নিয়ম
২০২৪ সালে এসে যদি আপনি নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই স্কিল সম্পর্কে জানতে হবে। তো বন্ধুরা আপনারা যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং এ আসতে চাচ্ছেন বা আসছেন তাদের জন্য সেরা ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং স্কিল নিয়ে আসছি এবং এগুলো কিভাবে ব্যবহার করবেন সেটিও জানাবো। তো আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে অবশ্যই আমার এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন। এই পোস্টটি পড়তে আপনার সর্বোচ্চ তিন থেকে চার মিনিট সময় লাগবে। আর এইটুকু সময় দিয়েই কিন্তু আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি হাজারো ধরনের কাজ পাবেন। কিন্তু কোন কাজে বেশি টাকা বা কম সময়ে বেশি আয় করা সম্ভব এ বিষয়ে হয়তো আপনি জানেন না। তাই এই হাজারো সেক্টরের মধ্য আমি আপনাদের জন্য সেরা ২০টি স্কিল সাজেস্ট করব। এগুলোর মধ্য থেকে যদি আপনি বেছে নিন পছন্দের কাজ।
এছাড়া বন্ধুরা আমরা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে গিয়ে কাজের জন্য বসে থাকি। কিন্তু আমাদের কাজের যে স্কিল রয়েছে এগুলো অন্য জায়গায় ব্যবহার করি না। যার কারনে দেখা যায় যারা নতুন আছেন তাদের কাজ পেতে অনেক অসুবিধা হয়। একটা সময় দেখা যায় সে ফ্রিল্যান্সিং ছেড়ে দেয়। কিন্তু আপনার যে স্কীল গঠন হয়েছে সেটি কাজে লাগিয়ে কিন্তু আপনি ভাল টাকা আয় করতে পারবেন। এই বিষয়টা হয়তো অনেকেই জানেন না বা জানলেও কেউ করেন না। তো বন্ধুরা এই স্কিল গুলো কিভাবে ব্যবহার করবেন এ বিষয়েও আমি আপনাদেরকে জানাবো।
১. অ্যাপস তৈরি
বর্তমান সময়ের সবচাইতে বেশি চাহিদা হল অ্যাপস। তাই এটি ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রেও বেশি চাহিদা পূর্ণ একটি সেক্টর। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন এবং ভাবতেছেন কি শিখবেন? তাহলে আপনার কাছে যদি একটি ভালো কম্পিউটার থাকে তাহলে আপনি অ্যাপস তৈরি করা শিখতে পারেন। এপ্স তৈরি করার ভ্যালু কখনই শেষ হবে না যতদিন ইন্টারনেট থাকবে। তাই আপনি আপনার স্কিলটি গঠন করুন অ্যাপস তৈরি করার মাধ্যমে। অ্যাপস তৈরি করা প্রত্যেকটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে খুবই চাহিদা।
তবে আপনি যদি নতুন অবস্থায় থাকেন তাহলে তেমন একটা বেশি কাজ পাবেন না। যতই আপনি এডভান্স লেভেলের অ্যাপ তৈরি করা শিখুন না কেন। তাই আপনি প্রতিনিয়ত কাজ না পেলে হাল ছেড়ে দেবেন না। আপনি যেহেতু অ্যাপস তৈরি করতে পারেন সেহেতু নিজের মতো করে কিছু অ্যাপস তৈরি করুন। এবং আপনার তৈরি করা এপ্স গুলো প্লেস্টোরে পাবলিশ করুন। যখনই মার্কেট পেলে সে কাজ পাবেন তখন মার্কেটপ্লেস এর কাজগুলো করবেন এবং বাকি সময়টা আপনি আপনার প্লেস্টোরে পাবলিশ করা অ্যাপসের পিছনে দিবেন।
সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে আপনার কোন সময় নষ্ট হবে না। তাতে আপনি বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্লে স্টোরে অ্যাপ গুলো পাবলিশ করতে হলে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। তাই আপনি কিছু টাকা খরচ করে আপনি আপনার অ্যাপসগুলো পাবলিশ করুন এবং সেগুলো প্রমোশন করুন। দেখবেন আপনি আপনার অ্যাপ্স থেকে ভালো একটা ইনকাম পাবেন। এবং আপনি এর পাশাপাশি মার্কেটপ্লেস গুলোতেও কাজ পেলে তখন ঐ কাজগুলো করবেন।
যদি আপনি আপনার নিজের মডেলের তৈরি করা অ্যাপসগুলো প্লে স্টোরে পাবলিশ করেন। সেগুলো যদি ভালো একটি রেংকিং করে দেখবেন বিভিন্ন কোম্পানি থেকে আপনাকে অফার করবে আপনার ওই অ্যাপগুলো বিক্রয় করার জন্য তখন আপনি মোটা অংকের টাকায় কিন্তু আপনার পাবলিশ করা অ্যাপস গুলো বিক্রি করতে পারবেন। আশা করি বন্ধুরা বুঝতে পারছেন অ্যাপ ডেভলপার হয়ে কিভাবে স্কীল কাজে লাগাবেন।
২. ওয়েবসাইট তৈরি
বর্তমান সময়ে অ্যাপসের মতোই ওয়েবসাইটের খুবই চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি যদি এডভান্স লেভেলের ওয়েবসাইট ডেভেলপার হয়ে থাকেন। তাহলে কিন্তু আপনি মার্কেটপ্লেসে প্রচুর পরিমাণে কাজ পাবেন। তাই আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করা শিখতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরি করা এমনভাবে শিখবেন যাতে আপনি খুবই এডভান্স লেভেলের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
আপনি যখন নতুন অবস্থায় থাকবেন তখন হয়তো মার্কেটপ্লেসগুলোয় ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ তেমন একটা পাবেন না। তখন আপনি আপনার এই স্কিল টাকে অন্যভাবে কাজে লাগাবেন।
আপনি আপনার নিজের মত করে ভালোভাবে কিছু ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখুন। এখানে হয়তো আপনার কিছু টাকা খরচ করতে হবে। আপনি আপনার নিজের মত করে অ্যাডভান্স লেভেলের কিছু ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখুন আগে থেকেই। এবং এগুলো বিক্রি করার জন্য আপনি কিছু প্রমোশন করতে পারেন। তাতে দেখা যাবে আপনার মার্কেট পেলে সে কাজ না পেলেও আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইট গুলো আপনি বিক্রি করে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনেকেই খুবই ভালো ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। কিন্তু সে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য বসে থাকেন। তো তাদেরকে বলব আপনারা এই সময়টুকু নষ্ট না করে কিছু টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখুন। রেডিমেট করা ওয়েবসাইটগুলোর চাহিদা খুবই বেশি আছে। তাই আপনি যদি রেডিমেড ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখেন এবং কাস্টমারের সামনে দেখান তাহলে তার পছন্দ হলে আপনার কাছ থেকে সেটি কিনে নেবে।
আপনি নিজে একটি শপিং ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইটগুলো সাজিয়ে রাখবেন। এবং আপনার ওই একটা ওয়েবসাইট প্রমোশন করবেন বিভিন্ন এডস দিয়ে। তাহলে দেখবেন অনেকের কাছে আপনার ওই এডস পৌঁছে যাবে যারা মূলত ওয়েবসাইট কিনতে চায়। এভাবে মার্কেটিং করে কিন্তু আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পারছেন আপনি আপনার ওয়েবসাইট ডেভলপার স্কিলটাকে কিভাবে কাজে লাগাবেন।
৩. ভিডিও এডিটিং
বর্তমান সময়ে সবাই চায় তার ভিডিওটিকে খুবই সুন্দর ভাবে এডিটিং করতে। হয়তো অনেকে পারেন না তখন তারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে এডিটর খুঁজে থাকেন। তো আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নতুন হয়ে থাকেন এবং ভাবতেছেন কোন স্কিলটি আপনি গঠন করবেন? তাহলে আপনি ভিডিও এডিটিং স্কিলটি বেছে নিতে পারেন। ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে টাকার এমাউন্ট টা বেশি হয়ে থাকে।
তো আপনি যখন নতুন অবস্থায় একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর থাকবেন। তখন হয়তো আপনি কিছু মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য বসে থাকবেন। যারা বসে থাকবেন তাদের জন্য আমার একটা অ্যাডভান্স রয়েছে।
আপনি যদি একজন ভালো ভিডিও এডিটর হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন তার পাশাপাশি আপনি ফেসবুকে পেজো খুলতে পারেন। আপনি যখন মার্কেট প্লেসে কাজ পাবেন না তখন যেকোনো বিষয় নিয়ে ভিডিও এডিটিং করে সেগুলো ইউটিউব এবং ফেসবুকে আপলোড করতে পারেন। এতে দেখা যাবে আপনি যদি মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ না পান সেক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব এবং ফেসবুকে থেকে ইনকাম আসবে।
বর্তমান সময়ে অনেকে ভালোভাবে ভিডিও এডিটর রয়েছেন। কিন্তু তারা মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য বসে আছেন। তারা শুধু একটা নিয়েই ভেবে বসে আছেন। তারা যদি একটু চিন্তা করে কিছু একটা টপিক বের করে সেগুলো ভালোভাবে ভিডিও এডিটিং করে তাহলে কিন্তু তারা সোশ্যাল মিডিয়া গুলো থেকে ইনকাম করতে পারেন।
আপনার সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে যদি আপনার ভিডিও এডিটিং কারো পছন্দ হয়ে যায় বা কোন কোম্পানির। তাহলে কিন্তু আপনাকে তারা হায়ার করবে আপনার ওই সোশ্যাল মিডিয়া গুলো থেকে। আশা করি বুঝতে পারছেন আপনি আপনারে ভিডিও এডিটিং স্কিলটাকে কিভাবে ব্যবহার করবেন।
৪. কন্টেন্ট রাইটিং
আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কন্টেন্ট রাইটিং করেও টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন এবং একটু সহজ কাজ খুঁজতে চান তাহলে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে খুবই চাহিদা রয়েছে কন্টেন্ট রাইটিং এর। তাই আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি শুরু করতে পারেন কন্টেন রাইটিং দিয়ে।
একজন প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটিং হতে হলে আপনাকে অবশ্যই এসইও এবং রিসার্চ এ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যদি আপনি এই তিনটি কাজ একত্রে করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি একজন প্রফেশনাল কন্টেন রাইটিং হয়ে যাবেন।
আপনি যদি মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ না পান তাহলে আপনি নিজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে কন্টেন রাইটিং শুরু করুন। আপনি যখন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ পাবেন তখন ওই কাজগুলো করবেন এবং বাকি সময় আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইটে দিবেন। এছাড়া আপনি কিন্তু আগে থেকেই কন্টেন রাইটিং পোস্ট গুলো লিখে রাখতে পারেন। আপনার কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী আপনি তার কাছে বিক্রি করতে পারেন।
তবে সবচাইতে ভালো হবে আপনার সময় নষ্ট না করে। আপনি মার্কেট প্লেসে কাজ করার পাশাপাশি নিজের ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট পোস্ট করবেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভাল পরিমানে একটা টাকা আয় করতে পারবেন। অনেকে হয়তো এই কাজটা করেন না তারা শুধুমাত্র মার্কেট পেলেছে বসে থাকেন কাজের আশায়। তো বন্ধুরা আপনি আপনার স্কীলটাকে কে কাজে লাগিয়ে আয় করার চেষ্টা করুন।
৫. এ আই সার্ভিস
বর্তমান সময়ে সবচাইতে বেশি পরিচালিত হচ্ছে এআই এর মাধ্যমে। তাই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ও খুবই চাহিদা রয়েছে এআই এর। তাই আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কিন্তু এআই বিষয়ে স্কিল গঠন করতে পারেন। এআই দিয়ে আপনি অনেকগুলো সেক্টরে কাজ শিখতে পারবেন এবং সেগুলো করতেও পারবেন। বর্তমানে এ আই দিয়ে সবকিছুই বানানোর সম্ভব।
তাই আপনি মার্কেট প্লেসে এআই এর সার্ভিসের পাশাপাশি নিজে একটি মার্কেটপ্লেস তৈরি করুন যেমন ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ অথবা সোশ্যাল মিডিয়ার অন্য কিছু প্ল্যাটফর্মে। সেখানে আপনি আপনার স্কিল গুলো প্রেজেন্টেশন করুন। দেখবেন আপনি এআই এর সাহায্যে ভালো পরিমাণে একটা টাকা আয় করতে পারবেন।
৬. ডিজিটাল মার্কেটিং
আপনি যখনই ফ্রিল্যান্সিং জগতে আসবেন তখনই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কথা অবশ্যই শুনে থাকবেন। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভিতরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সেক্টর ভাগ করা। আপনি যদি চান্স পেয়ে আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল কাজ করব তাহলে আপনি কখনোই এটি সম্ভব করতে পারবেন না। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সেক্টর যেখান থেকে আপনাকে কাজের সেক্টর বেছে নিতে হবে।
তবে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্য এসিও, ভিডিও মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, অ্যাফিলেট মার্কেটিং, গুগল এড, মিউজিক প্রমোশন, মোবাইল অ্যাপস মার্কেটিং, পেইড সোশ্যাল মিডিয়া মারকেটিং এই ধরনের স্কিল গুলো গঠন করতে পারেন। এখান থেকে আপনি আপনার নিজের পছন্দমত ইস্কুলগুলো গঠন করবেন যেগুলো আপনি প্রফেশনাল ভাবে কাজ করতে পারবেন।
এই কাজগুলো মার্কেটপ্লেসে করার পাশাপাশি নিজেই কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করুন। তাহলে যখনই মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ পাবেন না তখনই নিজে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে সময় দিবেন। আপনি যে কাজ যেয়ে বেশি এক্সপার্ট হবেন ঠিক সেই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করবেন।
৭. ডিজাইনার
ফ্রিল্যান্সিং জগতের আরেকটি জনপ্রিয় সেক্টর হল ডিজাইন। আপনি ডিজাইনের মধ্যেও বিভিন্ন ধরনের কাজ পাবেন যেমন অ্যাপস ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, এডস ডিজাইন আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। তো আপনি এগুলোর মধ্যে থেকে আপনি আপনার পছন্দের কাজগুলো বেছে নিতে পারেন।
আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ডিজাইনার হয়ে যান তাহলে কিন্তু আপনাকে বসে থাকতে হবে না। আপনি মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ না পেলে নিজের কাজ করার চেষ্টা করুন। আপনি নিজে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আপনার ডিজাইনার গুলো সাজিয়ে সেগুলো প্রমোশন করে বিক্রি করতে পারবেন। এই প্লানটা হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই আপনি যদি আমার এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই এই কাজটি করার ট্রাই করবেন। আপনি যেহেতু একজন প্রফেশনাল ডিজাইনার সেহেতু আপনার ডিজাইনগুলো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে রেখে কিছু টাকা খরচ করে প্রমোশন করুন।
৮. গান বা মিউজিক
গান বা মিউজিক প্রতিটা মানুষেরই ভালো লাগেনা। তাই কখনোই এর শেষ হবে না। তাই আপনি যদি ভাল গান গাইতে পারেন অথবা ভালো মিউজিক তৈরি করতে পারেন অথবা আপনি বিভিন্ন বাকযন্ত্র বাজাত পারেন। তাহলে কিন্তু আপনি মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন।
যদি আপনি মার্কেট প্লেসে কাজ না পান সে ক্ষেত্রে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুকে পেজ খুলতে পারেন। সেখানে আপনি আপনার গান বা মিউজিক গুলো আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি মার্কেটপ্লেসের কাজের পাশাপাশি নিজের এই চ্যানেলগুলোতে সময় দিতে পারবেন তাতে করে আপনার কোন সময় নষ্ট হবে না।
৯. 3D Animation
বর্তমান সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো কাটন এনিমেশন ভিডিও যা সবাই দেখতে পছন্দ করে। তাই এনিমেশন ভিডিও এডিটিং বা এনিমেশন তৈরি করা আপনি শিখতে পারেন। এটি মার্কেটপ্লেসে খুবই চাহিদা রয়েছে এবং সারাজীবন থাকবে। আপনি প্রফেশোনাল ভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনার কাজের শেষ হবে না।
মার্কেটপ্লেসে কাজ না থাকলে আপনি একটি ইউটিউব ও ফেসবুক পেজ খুলে নিন। এবং এনিমেশন ভিডিও এডিটিং বা তৈরি করে আপলোড করুন। আরো একটা কাজ করতে পারেন আপনি 3D Animation ভিডিও তৈরি করে স্টোর বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন।
১০. ব্যবসা প্লান
আপনি যদি একটু বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ব্যবসা প্লান নিয়ে মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন। বর্তমানে অনেকের কাছে টাকা আছে কিন্তু ভালো ব্যবসা আইডিয়া নাই। আপনি যদি তাকে ভালো ব্যবসা আইডিয়া দিতে পারেন তাহলে কিন্তু তার বিনিময়ে আপনি কিছু টাকা নিতে পারবেন।
এছাড়া আপনি নিজে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে বা সোস্যাইল মিডিয়ায় একাউন্ট করে সেখানে ব্যবসা আইডিয়া দিতে পারেন। বর্তমান সবাই ব্যবসার আইডিয়া খুতেছে। তাই আপনি এই ব্যবসার আইডিয়া দিয়েও সফল হতে পারবেন।
বন্ধুরা এই ছিল আমার কাছে সেরা ১০টি ফ্রিল্যান্সিং এর স্কিল যা জানলে কাজের শেষ হবে না। এছাড়া এই কাজগুলো করে আপনি বাধাহীন টাকা আয় করতে পারবেন নিজের মত করে।